প্রকাশিত :  ২০:৫০
২১ অক্টোবর ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২৭
২২ অক্টোবর ২০২২

কার পাল্লা ভারী, বরিস না সুনাকের?

কার পাল্লা ভারী, বরিস না সুনাকের?
পদত্যাগ করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তবে নতুন নেতা নির্বাচন করা পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দৌড়। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ দৌড়ে সামিল হচ্ছেন কনজারভেটিভ দলের আরও কিছু চেনা মুখ। কিন্তু কীভাবে নির্বাচন করা হবে নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী! এক সপ্তাহের মধ্যে একজন নেতা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডি। বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে আগামী শুক্রবার। এক্ষেত্রে ৪টি দফা অনুসরণ করা হবে। প্রথমত, প্রার্থীদেরকে কমপক্ষে ১০০ এমপির সমর্থন পেতে হবে। যদি কেউ এই সমর্থন আদায় করতে পারেন তাহলে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে তিনি যোগ্য হবেন।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয়ত, ২৪শে অক্টোবর এমপিদের প্রথম ভোট হবে। এতে যদি তিনজন প্রার্থী হন, তাহলে  সবচেয়ে কম ভোট পাবেন যে প্রার্থী, তিনি এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বেন। তৃতীয়ত, ২৪শে অক্টোবর সোমবার রাতে বাকি দুই প্রার্থীর ওপর ভোট দেবেন এমপিরা। চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপে দু’জন প্রার্থীই লড়াইয়ে থেকে যাবেন। এরপর তাদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে অনলাইনে ভোট নেয়া হবে। ভোট দেবেন কনজার্ভেটিভ পার্টির সদস্যরা। বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২৮শে অক্টোবর শুক্রবার। 

এদিকে বৃটিশ মিডিয়ায় জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে, আবার ক্ষমতায় ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন! এরই মধ্যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের টিকিট কাটার জন্য তিনি ৫০ জন এমপির সমর্থন পেয়েছেন। যদি নিজের কনজারভেটিভ দলের ১০০ এমপির সমর্থন বাগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে তিনিই হতে পারেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। যদি তিনি তা পারেন, তাহলে তিনি হবেন বৃটেনের ইতিহাসে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী, যারা এভাবে ক্ষমতা ছেড়ে আবার ক্ষমতায় এসেছেন। এমন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন উইনস্টন চার্চিলও। দ্বিতীয়জন ছিলেন লেবার দলের হ্যারল্ড উইলসন। অনলাইন ডেইলি মেইল লিখেছে, এরইমধ্যে ফেভারিট ঋষি সুনাকের সঙ্গে ‘গেট ব্যাক টুগেদার’ শুরু করেছেন বরিস জনসন। অর্থাৎ তিনি ঋষি সুনাকের সমর্থন চেয়েছেন এবং বিরোধী লেবার দলের বিরদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তবে দলের ভেতরে অন্য আভাস। কিছু কনজারভেটিভ প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। তারা বলেছেন বরিস জনসন যদি জয়ী হন, তাহলে তারা পদত্যাগ করবেন।  পরস্পর বিরোধী এই রাজনীতি ব্রেক্সিটের পর গ্রাস করেছে বৃটেনের রাজনীতিতে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘন ঘন সেখানে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছেন। ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে সতর্কতা দিয়েছেন ইউরোপিয়ান নেতারা। 

প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নতুন করে টিকে থাকতে হলে বরিস জনসনকে ১০০ এমপির সমর্থন আদায় করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনি ৫০ জন এমপির সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৩৯ জন এমপির সমর্থন। আর পেনি মর্ডন্ট পেয়েছেন ১৭ জনের  সমর্থন। ফলে দৃশ্যত এখন পর্যন্ত এ দৌড়ে প্রথম স্থানে আছেন বরিস জনসন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে কনজারভেটিভ এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাকে সমর্থন দিতে। এরমধ্যে আছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকও। তাদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী লেবার দলের নেতা স্যার কিয়ের স্টর্মারের বিরুদ্ধে তিনিই বিজয়ী হতে পারবেন বলে দাবি করেছেন।

Leave Your Comments




বিশ্ব সংবাদ এর আরও খবর