প্রকাশিত :  ০৪:৫১
০৬ জানুয়ারী ২০২২

দুর্নীতিতে অধিদপ্তর, দূষণে পরিবেশ

দুর্নীতিতে অধিদপ্তর, দূষণে পরিবেশ


পরিবেশ দূষণের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে পরিবেশ অধিদপ্তর। দূষণ তৈরিকারী শিল্পকারখানাকে ঘুষের বিনিময়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে পরিবেশ দূষণ বেড়ে চলছে, পাশাপাশি বাড়ছে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির বড় ক্ষেত্র পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া ও নবায়ন।

গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ৬৬ শতাংশ শিল্পকারখানাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। শ্রেণিভেদে এই অর্থের পরিমাণ ৩৬ হাজার থেকে এক লাখ ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় শিল্পকারখানা স্থাপনের আইনি বিধান না থাকলেও ৭২ শতাংশ কারখানার অবস্থান আবাসিক এলাকায়। ক্ষমতার অব্যবহার ও ক্ষেত্রবিশেষে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে এটি করা হয়।

বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া ও নবায়ন দুর্নীতির বড় ক্ষেত্র। এ ছাড়া পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে।

 আজ বুধবার ‘পরিবেশ অধিদপ্তরে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে টিআইবি। অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ ফেলো নেওয়াজুল মাওলা।

 গবেষণায় দেখা যায়, কমলা-খ ও লাল শ্রেণিভুক্ত কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্রের সময় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (ইএমপি) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু ৫৭ শতাংশ কারখানা ইএমপি ছাড়াই পরিবেশ ছাড়পত্র পেয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র পেতে সব কারখানাকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিতে হয়। কিন্তু ১৭ শতাংশ কারখানা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এনওসি ছাড়াই ছাড়পত্র পেয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজানো দরকার মন্তব্য করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। 


Leave Your Comments




জাতীয় এর আরও খবর