প্রকাশিত : ০৫:৩৮
০৪ জানুয়ারী ২০২২
চলমান সংকট নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তবে এর কঠোর জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো। রোববার এই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপের সময় এ কথা বলেন তিনি। হোয়াইট হাউসের বরাতে এ খবর জানা গেছে। খবর এএফপির।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত উত্তেজনার বাস্তবতায় এক মাসের মধ্যে দুই দফায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন। পুতিনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আলোচনার কয়েক দিনের মাথায় রোববার জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বললেন তিনি। পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আরও হস্তক্ষেপ করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশ এবং সহযোগীরা কঠোর জবাব দেবে।ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করলে মস্কোকে কঠোর পরিণাম ভোগ করতে হবে বলে সম্প্রতি পুতিনকে সতর্ক করেছেন বাইডেন। এর কয়েক দিনের মাথায় ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন তিনি।
বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর একটি টুইট করেছেন জেলেনস্কি। 'অটুট সমর্থন' দিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করেন তিনি। জেলেনস্কি আরও বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক যে বিশেষ প্রকৃতির, তা এ ফোনালাপই প্রমাণ করে। জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন বলেছেন, নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের আলোচনায় ইউক্রেনকে যুক্ত করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, 'নিজের ভালো-মন্দের প্রতিনিধিত্ব নিজেকেই করতে হবে' এমন নীতিতে বিশ্বাসী ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেন, দেশটির বিভিন্ন সীমান্তে এক লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়া শিগগিরই আগ্রাসন চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোরও অভিযোগ, সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা করছে মস্কো। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানো হলে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে পশ্চিমাদের এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তারা বলছে, ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও সামরিক এ জোটে ইউক্রেনের সদস্য পদ নেই।