প্রকাশিত : ০৭:০৮
০২ জানুয়ারী ২০২২
ভারতে যেসব বেসরকারি উন্নয়ন বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনজিও) বিদেশি অনুদান পায়, তাদের অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ভারত সরকার। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সিদ্ধান্তে মাদার তেরেসার তৈরি মিশনারিজ অব চ্যারিটি কোনো সুবিধা পাবে না। কারণ চ্যারিটির বিদেশি অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র নবায়নের (লাইসেন্স বা চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো) আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
ভারতে প্রায় ২২ হাজার এনজিও বিদেশি অনুদান পেয়ে থাকে। এ সংস্থাগুলোকে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই ছাড়পত্র নবায়ন করাতে হয়। এখন পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ছয় হাজার সংস্থার আবেদন খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাই সব এনজিওর ছাড়পত্রের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ভারত সরকার।
কিন্তু মিশনারিজ অব চ্যারিটি এর সুবিধা পাবে না। কারণ তাদের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। ফলে চ্যারিটি তাদের বিদেশি অনুদানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর কোনো অর্থ নিতে পারবে না। সেই অর্থ খরচও করতে পারবে না। চ্যারিটির তরফে তারপরেই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তি ছিল, কিছু বিরূপ তথ্য পাওয়ার পরেই অনুদানের ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। কী সেই বিরূপ তথ্য, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
গতকাল ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স অব ইন্ডিয়ার (সিবিসিআই) একটি শাখা বিষয়টিকে ‘যন্ত্রণাদায়ক ধাক্কা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্য দিকে ওড়িশ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক বলেছেন, মিশনারিজ অব চ্যারিটি মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য নিতে পারে। এ বিষয়ে তিনি ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতায় মাদার তেরেসা মিশনারিজ অব চ্যারিটির যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে এর অধীন চার হাজারের বেশি মানুষ কাজ নানাভাবে করছেন। চ্যারিটির অধীনে রয়েছে সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য এতিম খানা, এইডস আক্রান্তদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, পক্ষাঘাতগ্রস্ত, দরিদ্র, গৃহহীন, মাদকাসক্ত, দুর্ভিক্ষ বা মহামারিতে আক্রান্ত মানুষের সেবা দেয়া চ্যারিটি থেকে।