প্রকাশিত :  ০৬:৩০
১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিশোধ হিসেবে চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। চীন তার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানি সীমিত করায় প্রতিশোধ হিসেবে শুল্ক ব্যাপকভাবে বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। 

গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে এ ঘোষণা দেন তিনি। আগামী মাস থেকে চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এরআগে ট্রুথে আরেক পোস্টে ট্রাম্প চীনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন তাদের বিরল জ্বালানি রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে খুবই ‘শত্রুতাপূর্ণ’ হয়ে উঠছে। এরমাধ্যমে চীন বিশ্বকে ‘জিম্মি’ করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি বিষয়টি এ পর্যায়ে আসবে, কিন্তু হয়তো সময় এসে গেছে। শেষ পর্যন্ত, যদিও এটি কিছুটা কষ্টদায়ক হবে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই ভালো ফল বয়ে আনবে।’

এছাড়া চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের হুমকিও দেন ট্রাম্প। তবে পরবর্তীতে জানান বৈঠকটি এখনো বাতিল হয়নি। কিন্তু তিনি জানান, তাদের দুজনের মধ্যে ‘আলোচনা হবে কি না’ সেটি তিনি নিশ্চিত নয়।

চীনের ওপর বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর মার্কিন পুঁজিবাজারে উল্লেখজনক দরপতন দেখা গেছে।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর ওয়াল স্ট্রিট শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটে, কারণ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে আরেকটি বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ বছরের বসন্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠার সময় ট্রাম্প বারবার চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। পাল্টা হিসেবে বেইজিংও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল।

চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প যখন চীনের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তখন বেইজিং তাদের বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোরতা আরোপ করে। যেসব মার্কিন সংস্থা এ পণ্যের ওপর নির্ভরশীল তারা এতে শঙ্কা প্রকাশ করে। এমনকি গাড়ি নির্মাতা ফোর্ডকে তাদের উৎপাদনই কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হয়।

গত মে মাস থেকেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে টানপোড়েন চলছে। যা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।


Leave Your Comments




আন্তর্জাতিক এর আরও খবর