প্রকাশিত :  ০৬:২৮
১০ অক্টোবর ২০২৫

জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষ যুবদল নেতা গুরুতর আহত

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের যুবদল নেতা শামীনুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত শামীনুর রহমান পৌর শহরের হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা—যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার গাদিয়ালা ও হামহামিয়া নামের দুটি জলমহাল সরকার কর্তৃক ইজারা পান পূর্ব ইব্রাহিমপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন। পরে তিনি গাদিয়ালা জলমহাল আবিবুল বারী আয়হান ও সুহেল আহমদ গংদের কাছে এবং হামহামিয়া জলমহাল পার্থ গংদের কাছে সাব-লীজ প্রদান করেন। যা মৎস্য আইন ও নীতিমালার পরিপন্থী বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় নলুয়া নোয়াগাঁও গ্রামের দুলু মিয়া বাদী হয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন মৎস্য, সমবায় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরিত হয়। জেলা প্রশাসক জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগটির শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। শুনানিকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা অফিসের বাইরে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা শামীনুর রহমান গুরুতর আহত হন।

বিএনপি নেতা আবিবুল বারী আয়হান অভিযোগ করে বলেন, “আজাদ ও সুহেল গং সহ আওয়ামী লীগপন্থী সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ভাই শামীনুরের ওপর হামলা চালিয়েছে। সে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তবে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুহেল আহমদ।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহসিন উদ্দিন বলেন, “জলমহাল দুটির শুনানিকালে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তারা অফিসের বাইরে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।


Leave Your Comments




সারাদেশ এর আরও খবর