প্রকাশিত : ১৯:৩৯
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার
হাঁস না মুরগির ডিম, সেটা জানা সম্ভব হয়নি, কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ একটি ডিম বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, দেশে-বিদেশে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামগ্রিক মর্যাদা ও সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেহাল দশার চিত্রটি বড় করুণভাবে ফুটিয়ে তুলল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং নোবেলজয়ী ড. ইউনুসের পক্ষেও তাঁর সরকারের এই চিত্রটি আর ঢেকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
আমরা এরই মধ্যে প্রায় সবাই জানি, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সফরসঙ্গী হয়ে নিউইয়র্ক গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সে সময় তিনি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে ড. ইউনুসসহ অবতরণের পর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসছিলেন পৃথকভাবে।
ড. ইউনুস সরকার প্রধান হিসেবে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাঁর সফরসঙ্গী উপদেষ্টা ও সরকারি কর্মকর্তাদের দলবল নিয়ে যথারীতি ভিভিআইপি গেট দিয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু এ মুহূর্তের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা, বয়োবৃদ্ধ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. ইউনুসের সফরসঙ্গী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের যেতে হয় সাধারণ চ্যানেলে।
সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে হয় এবং সব শেষ করে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে হেঁটে যেতে হয় আরও সাত মিনিটের রাস্তা। আর তারই সুযোগ নেন দেশে কার্যক্রম-নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিউইয়র্কে বসবাসরত কর্মী-সমর্থকেরা।
তাঁরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তাঁদের লক্ষ্যবস্তু করেননি। এমনকি এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারাকে লক্ষ্য করে উপস্থিত কয়েকজন অশ্রাব্য গালিগালাজের তুবড়ি ছুড়লেও তাঁকে শারীরিক হামলার শিকার করেননি। একটি হামলা চালাতে তাঁরা বেছে নেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে। মিজানুর রহমান নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী আখতারের পেছন থেকে একটি নিরীহ ডিম নিখুঁত নিশানায় ছুড়ে মারেন, যা আখতারের মাঝপিঠ বরাবর বিস্ফোরিত হয়।
স্রেফ ডিম বলেই রক্ষা। আখতারের শারীরিক কোনো ক্ষতি হয়নি, হওয়ার কথাও নয়। তবে তিনি মানসিকভাবে নিশ্চয় আহত হয়েছেন। দলীয় বিবেচনায় অবশ্য তাঁর কিছু রাজনৈতিক লাভ হলেও হতে পারে। তাঁর ওপর হামলার নিন্দায় এ মুহূর্তে সোচ্চার খোদ সরকার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং তাঁর নিজের দল এনসিপি তো বটেই। এ হিসেবে আখতার হোসেনের রাজনৈতিক স্কোর নিশ্চয় অনেকখানি বেড়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার একজন সফরসঙ্গীর ওপর এ রকম একটি হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে সরকার কী সচেতন ছিল না? আমরা তো জানি, এই কয়েক দিন আগে লন্ডন ও ওয়াশিংটনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে কী পরিমাণ হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এরও আগে গত বছরের নভেম্বরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরের প্রবেশপথে হেনস্তা করা হয়েছিল।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপির নেতারা নিজেরাও কী এ রকম একটি সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন না?
নানা নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে বিশেষ প্রটোকল পাবেন—তাঁদের সে রকম ধারণা দিয়ে রাখা হয়েছিল। বসানো হয়েছিল, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেই তাঁরা ভিভিআইপি এক্সিট দিয়ে বেরিয়ে নির্দিষ্ট হোটেলে চলে যাবেন।
কিন্তু আসলে হলোটা কী?
জানা যাচ্ছে, বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পাঁচ রাজনৈতিক নেতাকে আলাদা করে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য সরিয়েও নেওয়া হয়। কিন্তু সরকারিভাবে তাঁদের ‘বিশেষ প্রটোকল’ দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা পাওয়া হলো না। কারণ, এখন জানা যাচ্ছে, এই নেতারা যে ক্যাটাগরির ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন, ভিসার সেই ধরন অনুযায়ী তাঁরা বিশেষ প্রটোকল পেতে পারেন না। ফলে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদেরকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একযোগে বেরোনোর অনুমতি দেয়নি। ফলে এই নেতাদের অপ্রস্তুতভাবে সাধারণ যাত্রীদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ যাত্রীদের মতোই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যাতে সময় লাগে এক ঘণ্টারও বেশি। সব কাজ শেষ করে তাঁরা যখন বেরিয়ে আসেন, ততোক্ষণে প্রধান উপদেষ্টার মোটরবহর তাঁদের ছেড়ে চলে গেছে বহুদূর।
প্রশ্ন হলো, এ আমাদের কেমন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যারা খোঁজ রাখে না, বিশেষ প্রটোকল পাওয়ার জন্য সরকার প্রধানের সফরসঙ্গীদের কী ধরনের ভিসা থাকা প্রয়োজন? এই ভিসার ব্যবস্থা করা কী তাদের জন্য খুব কঠিন ছিল? আর সেই ভিসা ছাড়াই যখন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সে ক্ষেত্রে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে তাঁদেরকে সাধারণ যাত্রীদের এক্সিট দিয়ে বেরোতে হবে এবং তখন তাঁদের হেনস্তার চেষ্টা হতে পারে—সে বিষয়টি তাঁরা বিবেচনায় রাখলেন না কেন এবং তা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হলো না কেন?
আমরা তো চিন্তাও করতে পারি না, বয়োবৃদ্ধ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপরও যদি হামলা হতো, তাহলে কী হতো তার পরিণতি? কী হতো যদি তাসনিম জারাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হতো?
ঘটনা সম্পর্কে সরকারের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে একটি হাস্যকর যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের ভ্রমণের সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে, প্রতিনিধি দলকে প্রথমে একটি বিশেষ ভিভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করানো হয় এবং সুরক্ষিত পরিবহন ব্যবস্থায় পাঠানো হয়। কিন্তু হঠাৎ ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দলকে বিকল্প গেট দিয়ে বেরোতে হয়।
কী অদ্ভুত!
ভিসা-সংক্রান্ত একটি জটিলতা কী করে ‘হঠাৎ’ দেখা দিতে পারে? ঢাকায় মার্কিন কনস্যুলেট কী খুব কাঁচা কাজ করছে আজকাল? তারা কী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আশ্বাস দিয়েছিল যে, নেতাদের যে ভিসা আমরা দিলাম, সেটিতেই কাজ হয়ে যাবে, তাঁরা বিমানবন্দরে বিশেষ প্রটোকল পাবেন আর সরকার প্রধানের সঙ্গেই ভিভিআইপি গেট দিয়ে বেরোতে পারবেন? মনে হয় না, মার্কিন দূতাবাস সে রকম ঢিলেঢালা ভাবেই এখন কাজ চালাচ্ছে। এখানে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবহেলা, গাফিলতি আছে বলেই সাদা চোখে দেখা যায়। দপ্তরের কর্তারা একেবারে শেষ সময়ে একেক রকমের নির্দেশ পেয়েছেন আর নমঃনমঃ করে কোনোভাবে গোঁজামিল দিয়ে নির্দেশগুলো তামিল করে গেছেন বলেই মনে হচ্ছে।
নিউইয়র্কে রাজনৈতিক নেতারা হেনস্তার শিকার হতে পারেন কিনা সেটা বুঝে দেখা এবং তা এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নয়, সে দায়িত্ব সরকারের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের, যাঁরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব হ্যান্ডেল করে যাচ্ছেন। তাঁরা কী করে এমন অদ্ভুতুড়ে পরিস্থিতির জন্ম হতে দিলেন?
সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে করা অনুরোধ সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ভিভিআইপি নিরাপত্তা সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হয়। এই নিরাপত্তা শিথিলতার ফলে প্রতিনিধি দল ঝুঁকির মুখোমুখি হন।
বাহ!
রাজনৈতিক নেতাদের ভিভিআইপি নিরাপত্তা সুবিধা প্রদানে ব্যর্থতার দায়িত্ব সরকার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর চাপিয়ে দিল। বাংলাদেশ সরকার কী বলতে চাইছে—নিউইয়র্ক জেএফকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কাজকর্ম ঠিকমতো জানে না, সব উল্টোপাল্টা করছে? তো তারা কী এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বিচার দেবে?
একটা সরকারের কাজকর্ম এমন ধারার হলে বলার আর কিছু থাকে কী?
সরকারের বিবৃতি আরও বলছে, ঘটনার পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার, বাংলাদেশের নিউইয়র্ক মিশনের মাধ্যমে, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত এবং আইনসঙ্গত প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এমন একটা ক্রিয়া—অর্থাৎ নেতাদের হেনস্তা বা হয়রানির চেষ্টা হতে পারে, সরকারের কেউ সেটা আগে আন্দাজই করতে পারল না? এখন ‘আইনসঙ্গত প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে’ বলে সরকার নিজেদের লেজেগোবরে দশা ঢাকার চেষ্টা করছে। ‘নিউইয়র্ক মিশন’, ‘নিউইয়র্ক পুলিশ’—এসব গালভারী শব্দ আউড়ে নিজেদের খুব দায়িত্বশীল বলে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছে এখন।
সরকারের বিবৃতির আরেকটি অংশ উল্লেখ না করলেই নয়। সেটি হচ্ছে, ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা ও সব আনুষ্ঠানিক দলের সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন ফেডারেল ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যাতে বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা যায়।
ডিম ফাটানোর পর এখন সরকার প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর’ উদ্যোগ নিয়েছে। এখানেও গালভারী শব্দাবলীর ছড়াছড়ি। সরকার বলছে, মার্কিন ফেডারেল ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সরকার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
কি জন্য করছে?
সরকারের বক্তব্য: ‘যাতে বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা যায়’।
নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হওয়ার পর আর মর্যাদায় দাগ লেগে যাওয়ার পর সরকার এখন ওদের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে’?
সরকারের কাজ আর বোধ-অনুভূতির বিষয়ে প্রশ্ন তোলা এখন খুব জরুরি বলেই মনে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে চলতি বছরের জুন মাসে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের সময়কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় মনে করা যেতে পারে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস লন্ডন সফরে এসেছিলেন। চেয়েছিলেন, যেহেতু তিনি একটি দেশের সরকার প্রধান, তাই তিনি যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধান অর্থাৎ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে চান। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে আসলে কী করা হয়েছিল, সে নিয়ে সরকার খোলাসা করে কিছু বলেনি। কিন্তু ড. ইউনুস লন্ডন অবস্থানকালেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবলীলায় জানিয়ে দিলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কানাডা গেছেন, তাই বৈঠকটি হচ্ছে না!
অথচ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সেদিন লন্ডনেই ছিলেন!
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তথা প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র তথা প্রেস সচিব যদি ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করতে মুখিয়ে থাকেন, তাহলে নিউইয়র্ক নাটক নিয়ে যা বুঝবার সেটিই বুঝে নিতে হবে।
কিন্তু আশঙ্কা থেকে যায়, নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের পিঠ বরাবর ডিমের বদলে যদি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এক বা একাধিক গুলি নিক্ষিপ্ত হতো, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াত?
অন্তর্বর্তী সরকার কী দেশ বা বিদেশ—কোথাও সত্যিকারের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে না?