প্রকাশিত : ০৩:৫৬
০২ জানুয়ারী ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:০৫
০২ জানুয়ারী ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য ভাতার প্রচলন করে।
তিনি বলেন, সরকার ১৩ বছরে দেশের দুস্থ, দরিদ্র, অসহায় শিশু, প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রবীণ ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। গণমানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় এসব কর্মসূচি আমরা আগামীতেও অব্যাহত রাখবো।
রবিবার (২ জানুয়ারি) ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা করেন তিনি। এই মন্ত্রনালয় ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২২’ উদযাপন করছে জেনে আনন্দিত এবং এবারের প্রতিপাদ্য মুজিবর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যা প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১৩ বছরে দেশের দুস্থ, দরিদ্র, অসহায় শিশু, প্রতিবন্ধী, কিশোর-কিশোরী, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রবীণ ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমান অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ৫৭ দশমিক শূন্য ১ লাখ জন, বরাদ্দ ৩ হাজার ৪৪৪.৫৪ কোটি টাকা। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা পাচ্ছেন ২৪ দশমিক ৭৫ লাখ মানুষ, বাজেট এক হাজার ৪৯৫.৪০ কোটি টাকা; প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন ২০ দশমিক শূন্য ৮ লাখ জন, বাজেট ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতাভোগীদের অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিব। ২০২০-২১ অর্থবছরে শতভাগ ভাতাভোগীর অর্থ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করে সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেছি। আমরা চা-বাগানের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। হিজড়া, বেদে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ, বিশেষভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা পাচ্ছে। গণমানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল কর্মসূচি আমরা অব্যাহত রাখব।’
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।