প্রকাশিত :  ১৬:২০
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:২৮
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুঁজিবাজারের খেলায়: যারা ধৈর্য ধরেছেন, তারাই জিতেছেন

পুঁজিবাজারের খেলায়: যারা ধৈর্য ধরেছেন, তারাই জিতেছেন

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার যেন এক উত্তাল সমুদ্র—কখনো শান্ত, কখনো উত্তাল। সূচক বাড়লে বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফোটে, আবার সামান্য পতনে নেমে আসে হতাশার মেঘ। এই ওঠানামা নতুন কিছু নয়; বরং এটি বাজারের স্বাভাবিক চরিত্র।

গত দুই মাসের দিকে তাকালেই দেখা যায় নতুন আশার আলো। প্রধান সূচক প্রায় এক হাজার পয়েন্ট বেড়েছিল। নিঃসন্দেহে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। তবে মনে রাখতে হবে, টানা উত্থানের পর সামান্য পতন আসা বাজারের সুস্থতার লক্ষণ। এটি অনেকটা নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো—একবার নিঃশ্বাস নেওয়া যায়, আবার নিতে হয়। সাম্প্রতিক এই পতন ভয়ের নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের বড় উত্থানের প্রস্তুতি।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সূচক দীর্ঘদিন এই অবস্থানে স্থায়ী থাকবে না। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজার আবার নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। কারণ ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, প্রতিটি পতনের পর বাজার আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে। যারা এই সময়ে ভয় না পেয়ে ধৈর্য ধরেছেন, তারাই শেষ পর্যন্ত সাফল্যের দেখা পেয়েছেন।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো মাথা ঠান্ডা রাখা। ভয় পেয়ে শেয়ার বিক্রি করলে ক্ষতি নিশ্চিত, আর ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে লাভ কেবল সময়ের ব্যাপার। পুঁজিবাজার কোনো এক দিনের খেলা নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার স্থান। যারা এখানে রাতারাতি বড়লোক হতে চান, তাদের জন্য অপেক্ষা শুধু হতাশা। কিন্তু যারা ধৈর্য ধরে, বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করেন, তারাই সাফল্যের স্বাদ পান।

আমরা দেখেছি, যারা অতীতে সামান্য পুঁজি নিয়ে ধৈর্য ধরে রেখেছিলেন, তারা আজ বড় মুনাফার মালিক। অন্যদিকে, যারা ভয় পেয়ে দ্রুত শেয়ার বিক্রি করেছেন, তারা শুধু সুযোগই হারাননি, বরং আর্থিক ক্ষতিরও শিকার হয়েছেন। তাই বিনিয়োগের আসল মূলধন অর্থ নয়; বরং আস্থা এবং ধৈর্য।

আজকের এই সময়টা হয়তো আপনার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে। তবে মনে রাখবেন, এই অন্ধকার রাত পার হলেই আসবে নতুন দিনের আলো। তাই এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত হলো, লোকসানে শেয়ার বিক্রি না করে শেয়ারগুলো ধরে রাখা। কারণ বাজার সবসময় সেই বিনিয়োগকারীদের পুরস্কৃত করে, যারা সাহসী এবং ধৈর্যশীল। আজ ধৈর্য ধরুন, কাল এর সুফল পাবেনই।


Leave Your Comments




পুঁজি বাজার এর আরও খবর