প্রকাশিত : ০৭:৩১
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৯
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকাই সিনেমার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম সালমান শাহ। মাত্র তিন বছরের স্বল্প সময়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দর্শকের হৃদয়ের ‘স্বপ্নের নায়ক’। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই মাত্র ২৫ বছর বয়সে থেমে যায় তার জীবনপ্রদীপ। সেদিন ঢাকার ইস্কাটনের বাসভবন থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর পর কেটে গেছে ২৯ বছর, তবুও রহস্যময় এই প্রস্থান আজও ঘিরে রেখেছে অসংখ্য প্রশ্ন।
মৃত্যুর অনেক বছর পার হলেও ভক্তদের মনে তিনি আজও অমলিন। সালমান শাহকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে গঠিত ‘সালমান শাহ ফ্যান ক্লাব’-এর সদস্যরা জন্মদিন উদযাপন করবেন।
পাকিস্তানি তারকা দম্পতি সাত মাসে বিচ্ছেদের পথেপাকিস্তানি তারকা দম্পতি সাত মাসে বিচ্ছেদের পথে
টিভি চ্যানেলগুলোও বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনের মাধ্যমে নায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালের উনিশ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরীর সন্তান তিনি।
স্কুলে পড়ার সময় বন্ধুমহলে তিনি সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে ১৯৯২ সালে সামিরা হককে বিয়ে করেন।
চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিনয়জীবন শুরু হয়।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন এবং প্রথম সিনেমাতেই দর্শকের হৃদয়ে ঝড় তোলেন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে নায়িকা মৌসুমীরও চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।
পরবর্তীতে সালমান শাহ-মৌসুমী জুটিতে আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর তিনি শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডজনখানেক সিনেমায় অভিনয় করেন। এছাড়া সালমান শাহর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি।
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক জীবনলিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক জীবন
জীবদ্দশায় মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো: ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘কন্যাদান’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’।
মৃত্যুর পর মুক্তি পেয়েছিল ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, এরপর ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ এবং শেষ সিনেমা ‘বুকের ভেতর আগুন’।
সালমান শাহকে স্মরণ করে ভক্তরা ফ্যান ক্লাব ছাড়াও ‘সালমান শাহ স্মৃতি পরিষদ’ গঠন করেছেন এবং তার নামে রিসোর্ট নির্মাণও হয়েছে, যা নায়কের প্রতি চিরন্তন শ্রদ্ধার প্রতীক।