প্রকাশিত : ০৮:০৭
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:০৯
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংগ্রাম দত্ত: অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য এক নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসকের পদক্ষেপ কমলগঞ্জবাসীর মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের গাইনী ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ডা. বিথীকা চন্দ এবার থেকে নিজ জন্মভূমি কমলগঞ্জ উপজেলা শহরে নিয়মিত রোগী দেখবেন।
ডা. বিথীকা চন্দ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বীরেন্দ্র চন্দের বড় মেয়ে। বাবার স্বপ্ন ছিল মেয়েকে চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলা এবং এলাকার গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা। সেই স্বপ্ন পূরণে তিনি একদিকে নিজের শিক্ষা-দীক্ষায় কোনও ঘাটতি রাখেননি, অন্যদিকে মেয়েদের ভালো শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে আদমপুর গ্রাম ছেড়ে পৌরসভার চন্ডিপুর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধার পরিচয় দেন বিথীকা। কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পরে সিলেটে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্মভূমি ভুলে যাননি তিনি। বাবার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারের রিক্তা ফার্মেসীতে রোগী দেখবেন। বিশেষ করে নারী ও মাতৃত্বজনিত সমস্যার জন্য এলাকার মানুষ রাজধানী বা জেলা শহরে ছুটে যেতে বাধ্য হতেন। এ উদ্যোগে তাঁদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় শিক্ষক-সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন—ডা. বিথীকা চন্দের মত চিকিৎসকের এলাকার সেবায় এগিয়ে আসা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক নারীরা সহজে স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ডা. বিথীকা চন্দ বলেন, “ডাক্তার হওয়া মানেই শুধু সরকারি চাকরি নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল কাজ। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে আমি গর্বিত। কমলগঞ্জের মানুষই আমার আপনজন, তাই তাঁদের জন্য সবসময় কিছু করতে চাই।”
স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষায়িত চিকিৎসকদের এমন উদ্যোগ স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও জনগণের আস্থাবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।