প্রকাশিত : ১৫:৩০
২২ আগষ্ট ২০২৫
দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ‘বিড়ালে’ পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। সীমান্তে পিঠের পরিবর্তে বুক দেখাতে শুরু করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)। এবার সীমান্তে এক বাংলাদেশি কৃষককে অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির কাছে ধরা পড়ে বিএসএফ সদস্যরা। পরে বিজিবি সদস্যদের পায়ে ধরে আকুতি-মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন দুই বিএসএফ সদস্য। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের শেয়ার করা এই ভিডিও ভারতজুড়ে আলোচনার ঝড় তুললেও তা আর দেখা যাচ্ছে না দেশটিতে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ২২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ভারতের গ্রিভিয়েন্স অ্যাপিলেট কমিটি (GAC)-এর আইনি অনুরোধের ভিত্তিতে ভিডিওটি ভারতে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
ফেসবুকের নোটিফিকেশনে বলা হয়— “Because of a legal request from Grievance Appellate Committee (GAC) we have to restrict access to your video. This request is based on local laws.”
সায়েরের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশের ভেতরে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর এক সদস্য অস্ত্রসহ ধরা পড়ে বিজিবি সদস্যের পা ধরে বসে আছেন। দৃশ্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
নিজের স্ট্যাটাসে সাংবাদিক সায়ের লিখেছেন—
“আহারে Narendra Modi Bharatiya Janata Party (BJP) BSF সোনামনিরা, খুব লেগেছে বুঝি? তাই Grievance Appellate Committee (GAC)-এর কাছে নালিশ করে ভিডিওটা ভারতে কেন কেউ দেখতে না পারে, সে ব্যবস্থা করেছো?”
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক সময়ে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বিএসএফের বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রম, নিরীহ মানুষ হত্যাসহ নানা অভিযোগ বহুবার উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়া ও ভারতে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অনেকে বলছেন, ভিডিওটি নিষিদ্ধ করা আসলে ভারতের জন্য এক ধরনের “লজ্জা এড়ানোর চেষ্টা”।