প্রকাশিত : ১০:১০
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
গতকাল সোমবার অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও মালিকানায় রাখার অভিযোগে মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে হওয়া মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। তবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তা স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। এ দুই মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি তিন বছরের সাজা পাবেন। খবর: রয়টার্স।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এরপর তাকে কারাবন্দি করা হয়। গত ৭ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করায় এবং উসকানি দেয়ার অভিযোগে অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তার সাজা দুই বছর হ্রাস করে রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দি অবস্থায় সাজা ভোগ করার কথা জানান জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও লড়াইয়ে এ পর্যন্ত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই মামলার রায় ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
ওয়াকিটকির মামলা, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ সু চির বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা করেছে জান্তা সরকার। সবগুলোয় দোষী সাব্যস্ত হলে ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে সু চির। তবে সব অভিযোগই সু চি অস্বীকার করেছেন। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে।
গত জুন থেকে আদালতের শুনানিসহ এসব বিচার মামলার বিচারকাজ চলছে। সুচির সমর্থকদের দাবি, তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অং সান সুচির বিরুদ্ধে আনা অন্য মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ নেয়া, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় গাফিলতি।
এদিকে দেশটির রাজধানী নেপিদোতে বিশেষ আদালতের শুনানিতে গণমাধ্যমকে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অং সান সু চির আইনজীবীদের মানা করা হয়েছে।