প্রকাশিত : ১২:০১
২৬ জুলাই ২০২৪
বলিউউ অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ এবং ‘ক্রু’-এর মতো দুই হিট সিনেমা উপহার দিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন। তবে যে সিনেমার জন্য এতদিন ধরে কৃতি অপেক্ষায় রয়েছেন, তা সহসাই হচ্ছে না! কারণ, সি বলিউউ অভিনেত্রী কৃতি শ্যানননেমাটি নির্মিত হবে ভারতের কালজয়ী অভিনেত্রী মীনা কুমারীর জীবন নিয়ে। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার পরিচালনায় আসছেন খ্যাতিমান ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা।
গত বছরই সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু নির্মাতার ঠিকমতো প্রস্তুতি না থাকায় শিডিউল পেছানো হয়। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরেও সিনেমাটির শুটিং হবে না। ফলে আবারও পেছানো হয়েছে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের সময়। মনীশ মালহোত্রা সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে আরও কাটছাঁট করছেন।
তিনি চাইছেন, ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ মীনা কুমারীর জীবন ও কর্ম যেন নিখুঁতভাবে উঠে আসে পর্দায়। পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম সিনেমাতেই কিংবদন্তি নায়িকার জীবনকাহিনি পর্দায় তুলে ধরবেন তিনি। তাইতো তিনি কোনো কিছুর কমতি রাখতে চান না। জানা গেছে, ২০২৩ সালে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাতার কিছু ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য এই শুটিং পিছিয়ে যায়। ২০২৪ সালের শেষের দিকে ফের শুটিং শুরুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কলাকুশলীরা। আবারও সিনেমার দৃশ্যধারণ পেছানো হয়েছে। ফলে অপেক্ষা আরও বাড়ল কৃতি শ্যাননের। কারণ, সিনেমাটি ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনায় মজে রয়েছেন অভিনেত্রী।
বলা যায়, এটি তাঁর স্বপ্নের সিনেমা। আর স্বপ্ন পূরণে অভিনেত্রীর যাত্রা আরও কিছুটা দীর্ঘতরই হলো! সিনেমাটি নিয়ে কৃতি বলেছেন, ‘যেদিন মীনা কুমারী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি, সেদিন থেকেই সিনেমাটিতে কাজের জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমে নির্মাতার একজন সূত্র নিশ্চিত করছে এবার সিনেমাটির দৃশ্যধারণ হবে ২০২৫ সালের শুরুতে।
কৃতি এখন ব্যস্ত নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ‘দো পাত্তি’ সিনেমার কাজ নিয়ে। মূলত সিনেমার জন্যই বোন নূপুরের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন কৃতি শ্যানন। নাম দিয়েছেন ‘ব্লু বাটারফ্লাই’।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রজাপতি আমার ভীষণ ভালো লাগে। পাশাপাশি নীল রং আমার বড্ড প্রিয়; যা আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ বুলালেই বুঝতে পারবেন। আর প্রজাপতির মতো মন্থর গতিতেই জীবনের সেরাটা হয়ে ওঠা যায়। আমিও প্রতিদিন নতুন করে শিখছি। তাই আমার সফরটাও প্রজাপতির মতো। প্রতিটি মানুষের জীবনেই সংঘর্ষ রয়েছে। আর এই সংঘর্ষের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের জীবনের সেরা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারি। বলা যেতে পারে, আমার জীবনের প্রজাপতি হলো রূপকের মতো। সে কারণেই আমি আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছি ‘ব্লু বাটারফ্লাই’ এবং লোগোতে নীল রং ব্যবহার করেছি।’