প্রকাশিত : ০৮:৩২
২২ নভেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৩
১৫ ডিসেম্বর ২০২১
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব এক বিবৃতিতে জানায়, মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ইতোপূর্বে সুপারিশ প্রদানসহ নানাভাবে সরকারের কাছে এই খাতের উপর বিদ্যমান উচ্চ কর ব্যবস্থা যৌক্তিক করার আবেদন জানিয়ে এলেও তা বিবেচনা করা হয়নি।
কোভিড-১৯ চলাকালীন মোবাইল ফোন খাতকে জরুরি ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ব্যবসার পাশাপাশি অর্থনীতি পরিচালনায় গ্রাহকদের সংযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এখন এই খাতের লক্ষ্য হলো পিরামিডের নিচের অংশে থাকা নিম্ন আয়ের লোকদের সংযুক্ত করা। তাই অপারেটররা সরকারকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাদের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথকে আরও অগ্রসর করবে। এই বাজেটে ন্যূনতম কর, কর্পোরেট কর, সিম ট্যাক্স এবং ডিরেক্ট অপারেটর বিলিং ইত্যাদি বিষয়গুলো সমাধান করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল টেলিকম-সম্পর্কিত করের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মোবাইল খাত গত কয়েক বছর ধরে প্রযোজ্য শুল্কের নীতিমালা সংস্কারের জন্য আবেদন করে আসছে। তবে তা উপেক্ষা করা হচ্ছে, যা এই খাতে জড়িতদের হতাশ করেছে বলে জানায় এমটব।
মোবাইল খাতে কর যৌক্তিকতার দাবি তুলে ধরে এমটব কয়েক দফা দাবি জানায়।
সেগুলো হলো-#অলাভজনক অপারেটরের উপর ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার বা যুক্তিসঙ্গত করা।
#উচ্চ কর্পোরেট করের হারকে যৌক্তিক এবং সহনীয় পর্যায়ে হ্রাস করে তালিকাভুক্ত (বর্তমান ৪০ শতাংশ) ও অ-তালিকাভুক্ত (বর্তমান ৪৫ শতাংশ) অপারেটরদের কর ২৫ ও ৩২শতাংশ এ নামিয়ে আনা।