প্রকাশিত : ০৭:৩১
২৮ ডিসেম্বর ২০২১
বড়দিনে বর্ধমানে বাবা-মেয়ে। সেখানেই উদ্যাপন। হলে কী হবে? খুকুকে তাঁর বাবা নিউ মার্কেটের বিশেষ দোকানের কেক খাইয়েছেন! মেয়ের বায়নায় তাঁকে পাঁচতারা হোটেলের বাইরে দাঁড় করিয়ে একের পর এক নানা ভঙ্গির ছবিও তুলে দিয়েছেন! আনন্দবাজার অনলাইনকে বলতে বলতে ‘খুকু’ ওরফে দিতিপ্রিয়া রায় আহ্লাদে আটখানা। আপাতত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আর ছোট পর্দার ‘রানিমা’ বর্ধমানে। পরিচালক শৌভিক কুন্ডুর ‘আয় খুকু আয়’ ছবির শ্যুট চলছে সেখানেই। বড়দিনের আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার বর্ধিষ্ণু শহরে।
বড়দিনে তাঁর ‘খুকু’কে উপহার দিয়েছেন বুম্বাদা। বাদ দেননি অনুরাগীদেরও। ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রি’র ইনস্টাগ্রামে তাঁর ‘লুক’ দেখে হতবাক সবাই! ছিপছিপে চেহারার প্রসেনজিতের মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। মাথাজুড়ে বড় টাক। চেক শার্ট আর ঢোলা ট্রাউজার্স পরনে। পরিচালক জানিয়েছেন, ‘‘এই একটি চেহারায় নয়, ছবিতে বুম্বাদা বহুরূপী। চারটি লুকে ধরা দিচ্ছেন তিনি। তার জন্য রোজ দেড় ঘণ্টা প্রস্থেটিক রূপটান নিচ্ছেন। এ দিকে শ্যুট চলছে ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত!’’ প্রসেনজিৎ তা হলে ঘুমোচ্ছেন কখন? বিস্মিত পরিচালকও। তাঁর দাবি, টিমের আগে তিনি উঠছেন। ভোর ৪টেয় উঠে এক ঘণ্টা ধরে রূপটান নিয়ে ৫টায় প্রতি দিন পৌঁছে যাচ্ছেন লোকেশনে। এই বয়সে এই অধ্যবসায় অকল্পনীয়।
‘খুকু’র কেমন অভিজ্ঞতা? ‘বুম্বামামু’কে নিয়ে আপ্লুত দিতিপ্রিয়াও। ‘‘আমার ‘মনের মানুষ’র সঙ্গে কাজ করছি কী অনায়াসে! বুম্বামামু এক বারের জন্যও বুঝতে দিচ্ছেন না, তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কখনও ওঁর আগে কাজ শেষ হয়েছে। বেরিয়ে গিয়েছেন। আমার তখনও বাকি। বাড়ি ফেরার পরেই বার্তা পেয়েছি, ‘‘বাবু, আজকে তোকে বলে আসতে পারিনি। কিছু মনে করিস না। আমার প্যাকআপ হয়ে গিয়েছে রে। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে হয়েছে।’’ দিতিপ্রিয়ার দাবি, পর্দার পিছনের এই রসায়নই ক্যামেরায় প্রতিফলিত হচ্ছে। আলাদা করে আর বাবা-মেয়ের অনুভূতি তাই তৈরি করতে হচ্ছে না।